ভবিতব্য

ভবিতব্য - Green Vivacity


                   ছোট লাবণ্য আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। বাড়ি ভর্তি লোক গমগম করছে। কারন আজ তার শুভ বিবাহ। সকাল থেকেই বাড়িতে হইহুল্লোড় শুরু হয়ে গেছে। দধিমঙ্গল, গায়ে হলুদ, সবই সঠিক সময় হয়েছে। ছেলের বাড়ি থেকে তত্ত্ব আসা শুরু হয়ে গেছে। আজ লাবণ্য সবথেকে হয়তো খুশি। খুশি তো হওয়ারই কথা একটা মেয়ের জীবনে এর থেকে খুশির দিন আর কি বা হতে পারে। মা বাবার সবার পছন্দ মত ছেলেকে বিয়ে করছে সে। তাই কোন কিন্তু ব্যাপার নেই। আসলে ছেলেটা অফিসের বস ওর। ছেলে খুবই লাজুক তাই নিজে কিছু বলতে পারেনি। লাবণ্যর ফোন নাম্বার নিয়ে দেবাশীষ লাবণ্যের ফোন নাম্বারটা মাকে হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। ওর মাও অবশ্য খুঁজছিল একটা বৌমার  সন্ধান। কিন্তু বাবা-মা যথেষ্ট আধুনিক তাই কখনও না করেনি। ছেলের ব্যবহার তার বাবা-মায়ের আচার-আচরণ আর বাড়ির পরিবেশ সব তাদের আকৃষ্ট করার মতোই ছিল। তাই প্রথমে একটু মতানৈক্য থাকলেও পরে মেনে নিতে অসুবিধা হয়নি।

সন্ধ্যে ছটা। লাবণ্য বিয়ের কনে সেজে প্রস্তুত। লাল বেনারশিতে অপূর্ব লাগছে। লগ্ন সাতটা। মা-জেঠিমারা সব বরণডালা নিয়ে প্রস্তুত তাদের একমাত্র জামাই কে বরণ করতে। মোটামুটি সবই রেডি। কিছুক্ষণ যেতেই সবাই হইহই করে বলতে লাগল। বর এসেছে বর এসেছে। সবাই নিচে চলে গেল। লাবণ্য ওর ঘরের জানলার ফাঁক দিয়ে দেখার চেষ্টা করল ওর হবু বরকে। পান্জাবি টোপর পরে যেমন লাগে বোকা বোকা। ঠিক তেমনি লাগছে। লাবণ্যর শরীরটা কেমন একটা লাগছে। মাথাটা ঘুরে গেল কেমন একটা। জানলার ধারে আর দাড়াতে পারছে না। না আর পারছেনা সে, এবার বসে পরলো চেয়ারে। ভাবছে সকাল থেকে উপোস করে আছে বলে এমনটাই হলো। কিছু খেতে পারবে না এখন। ক'দিন ধরে তা শরীরটা যেন বড্ড আনচান করছে। কাউকে কিছু বলেনি সে। বড্ড নিরীহ চাপা স্বভাবের, আবার সবাইকে সামান্য শরীর খারাপের কথা বলে ব্যস্ত করার কথা সে ভাবেই নি। বাবা আর বর পুরুত মশাই কে নিয়ে মন্ত্র পড়া শুরু হয়ে গেছে। তাও এখন শরীরটা একটু ভালো লাগছে। আগের দিন অফিস থেকে ফেরার পথে মাথা ঘুরে পড়ে গেছিল সে। সে কথা কিন্তু কেউ জানেনা। কারণটা বোঝার চেষ্টাও করেনি লাবণ্য, ভেবেছিল এমনি হয়তো । ঠিক মতো অফিসে খেয়ে যায় না, অফিস থেকে এসে খায় না তাই হয়তো। মেয়েদের তো স্বভাব নিজের শরিরটা কে অবহেলা করা। লাবণ্য ও তার ব্যাতিক্রম নয়। কিছুক্ষণ পরে মা দিদিরা এল নিয়ে  যেতে নিচে। লাবণ্য  শরীর খারাপের কথাটা এখনো মুখ ফুটে বলল না। বড় দাদারা এসেছে। পিঁড়িতে বসাল তাকে পান পাতা দিয়ে মুখ ঢাকল। শুভদৃষ্টি হবে। বর তো তাকিয়ে আছে লাবণ্যর দিকে সবাই এই নিয়ে হাসাহাসি শুরু করে দিল। লাবণ্য চাইছিল দেখতে কিন্তু মাথা ঘুরছিল খুব। তাকাল ওর হবু বর টার দিকে।

গোলগাল মুখটা সত্যিই বোকা বোকা লাগছে। দুজনকে পাশাপাশি বসানো হল। মন্ত্র উচ্চারিত হতে শুরু হল। দুই হাত এক হল। এবার সাতপাকে ঘুরতে হবে। গাঁটছড়া বেঁধে দিল পুরুত মশাই। একবার ঘুরলো লাবণ্য অগ্নি কে সাক্ষী রেখে, দ্বিতীয়বারও ঘুরলো। কিন্তু তৃতীয় বার আর পারল না। লাবণ্য  আর পারলো না তার অবহেলিত শরীরটা আর তাকে সায় দিল না। চোখে সব অন্ধকার দেখছে সে। পুরো পৃথিবীটা যেন দুলছে তাই মনে হল।  লাবণ্যের পা দুটো থমকে গেল। আর পারল না সে এগিয়ে যেতে। শরীরটাকে নিয়ে মাথাটা ঘুরে পড়ে গেলো সে। স্বামী দেবাশীষ, প্রস্তুত ছিল না এই ঘটনার জন্য। সেও হকচকিয়ে গেল। সবাই তাড়াহুড়ো করে এসে ধরল তাকে। ওঠালো লাবন্যকে। লাবণ্যের মাথাটা তার মায়ের কোলের উপর রাখল। জ্ঞান হারিয়েছে সে।ও বাবা দৌড়ে এসে মুখে চোখে জল দিতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফেরার পর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হল লাবণ্যর। দেবাশীষ ফোনটা বার করে অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করল। আধঘণ্টার মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স এসে হাজির। সবার মুখে বিতৃষ্ণার ছায়া। এই অবস্থা ও প্রতিবেশীদের কানাঘুষা শোনা যায়। লগ্ন পেরিয়ে যাচ্ছে যে, মেয়ে যে লগ্ন ভ্রষ্টা হবে। বাবা দাদা আর দেবাশীষ গেলো হাসপাতালে লাবণ্যকে নিয়ে। ডাক্তাররা ইমার্জেন্সি রুমে নিয়ে গেল। শরীরে স্যালাইন দিল। পেটে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে লাবণ্য। আর পারছেনা সে। দম বন্ধ হয়ে আসছে।

তার বাবা হাসপাতালের সমস্ত কাগজ ফিলাপ করলো। চিকিৎসা শুরু হলো। প্রায় তিন ঘন্টা অপারেশনের পর এমার্জেন্সি রুম থেকে ডক্টর বেরিয়ে এলো। দেবাশীষ, দাদা, মা ,বাবা সবাই দেখে দৌড়ে গিয়ে বলল কি হয়েছে লাবণ্যর, কেমন আছে, কিছু বলুন ? ডাক্তার বাবু বললো - দীর্ঘদিন খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়মের ফলে আলসার হয়ে, পেটের ঠিক অনেকটাই নিচে টিউমার হয়ে গেছে। টিউমারকে বাদ দিতে হলে, লাবণ্য আর কোনদিন মা হতে পারবেনা। আপনারা যদি তাতে রাজি থাকেন তো আমি অপারেশনটা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। লাবণ্যর বাবা এক মুহূর্ত ভাবলো না সিদ্ধান্তটা নিতে। বারবার লাবণ্যর মা-বাবা বলল ডাক্তার বাবু আপনি কিছু একটা করুন আমার মেয়েটা কে বাঁচিয়ে তুলুন যেভাবে হোক। কিছুক্ষণের জন্য দেবাশীষের মুখটা থম মেরে গেল। ডাক্তারবাবু অপারেশন থিয়েটারে ঢুকলো আবার।

ঠিক ১৫ মিনিট পর। দেবাশীষের মা ফোন করেছে । জানতে চাইলো লাবণ্যর কি অবস্থা। দেবাশীষ পুরো ঘটনাটা বলল। সাথে এটাও বললো যে লাবণ্য কোনদিন মা হতে পারবেনা। দেবাশীষর মা পুরোটা শুনে বুকটা কেঁপে উঠলো। বলল  তুই আগে মেয়েটাকে ঠিক কর তারপর সব হবে। রাত দেড়টা। লাবণ্যর অপারেশন শেষ এবং সাকসেসফুল। লাবণ্যর মায়ের চোখের জল পরতে পরতে শুকিয়ে গেছে। ওর বাবার নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি। বারবার বলছিল মেয়েটা এত বড় হয়ে গেছে শরীরের একটু যত্ন নেয় না। আমাদের যেমন করে যত্ন নেয়, নিজেকে সেরকম করে যত্ন নেয় না, ঠিক করে খায় না, সেটা আমরা বুঝতেই পারিনি। নিজের জীবনের দুর্ভোগ নিজেই ডেকে আনল। লাবণ্যর মা ওর বাবাকে থামিয়ে দিয়ে বলল। তুমি এবার চুপ কর।ডাক্তার বাবুকে বলল ওর মা আমি একবার আমার মেয়েটাকে দেখবো। ডাক্তারবাবু বললেন ১৫ মিনিট পর যাবেন ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া আছে। বেশি কথা বলবেন না ওর উপর চাপ পড়বে ব্যথাটা এখনো কমেনি।

১৫ মিনিট পর দেবাশীষ আর লাবন্য মুখোমুখি। দেবাশীষের পাশে ওর মা দাঁড়িয়ে। পাশে লাবণ্য বাবা ও। কোন কিছুর জন্য যেন লাবণ্য তৈরি ছিল না সব যেনো হঠাৎই হয়ে গেল। তার জীবনের সব থেকে বড় সত্যিটা এখনো  জানে না লাবণ্য। দুদিন পরে লাবণ্য বাড়ি ফিরল। দেবাশীষের মায়ের আসল রুপটা প্রকাশ পেলো। সে দেবাশীষকে জানিয়ে দিল তার মত অলক্ষী -বাজা মেয়ে মানুষকে ঘরে বৌ কবার কথা যেন আর কোনদিন না ভাবে দেবাশীষ। দেবাশীষের বাবা ও তার মায়ের কথায় সুর মেলায়। দেবাশীষের হাত-পা বাঁধা আর কিছু করার ছিলনা। ঠিক তিনদিন বাদে লাবণ্য জানতে পারে সে আর কোনদিন মা হতে পারবেনা। কিন্তু ভাবেনি এই দুঃসময়ে দেবাশীষ ওর হাতটা ছেড়ে চলে যাবে। দেবাশীষ এল ওদের বাড়িতে তার তিনদিন পর। লাবণ্যর বাবার সাথে কথা বলল ওকে আর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় আমি ওর সাথে আর জীবন কাটাতে পারব না যার সাথে থেকে আমি কোনদিন পিতৃত্বের সাদ  পাবো না, তাকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।

দেবাশীষ এই বলে বেরিয়ে যেতেই লাবণ্যর ভেতরটা চুরমার হয়ে গেল। লাবণ্য এই চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে অন্য চাকরিতে জয়েন করল। যাতে দেবাশীষের মুখোমুখি আর না হতে হয়। ক্রমাগত চলতে লাগল তার জীবনের ধারা। বছর দুই বাদে লাবণ্য একটা বাচ্চাকে এক্সিডেন্ট এর হাত থেকে বাঁচায়। সেদিনের পর থেকে এই বাচ্চাটার সাথে রোজ দেখা হতো লাবণ্যর। একদিন পার্কে বাচ্চা মেয়েটার সাথে দেখাহতে তার বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করল। নাম জিজ্ঞেস করলো। বাচ্চাটার নাম মুন্নী। নন বেঙ্গলি। বাবা ব্যাংকের ম্যানেজার। মা নেই তাকে ছেড়ে চলে গেছে। বাড়িতে দাদু ঠাকুমা কাকা পিসি সবাই আছে। মুন্নি যেন লাবন্যকে পেয়ে মাতৃত্বের স্বাধ টা ফিরে পেলো। ক্রমশ গাঢ় হতে লাগলো লাবণ্য আর মুন্নির সম্পর্ক। মুনির কষ্টটা বোঝার চেষ্টা করছিল লাবণ্য। তাই তার বাবার সাথে কথা বলার দরকার প্রয়োজন পড়েছিল বলে মনে করেছিল। মুন্নির বাড়ির ঠিকানা নিয়ে নিয়েছিল লাবণ্য। আর তার বাবার অফিসের ঠিকানাও নিয়ে নিয়েছিল লাবণ্য। একদিন অফিসে যাওয়ার পথে লাবণ্য সেই ব্যাংকের সামনে দাঁড়ালো। মুন্নির বাবার সাথে কথা বলতে। একটা লোককে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন সোজা গিয়ে বাঁদিকের ঘরটায় মিস্টার অশোক কুমার আছেন সেখানে গিয়ে দেখা করুন। নামটা শুনে লাবণ্যর পা দুটো আর এগোচ্ছিল না। ফিরে গেছিল ছয় বছর আগে কলেজ লাইফের কথা। তার ক্লাসমেট অশোক কুমার বিহার থেকে এসেছিল পড়তে ইঞ্জিনিয়ারিং। অশোক খুব ভালোবাসতো লাবন্যকে। লাবণ্য অবশ্য কখনোই পাত্তা দেয়নি অশোক কে। কখনো ভালোবাসা বোঝার চেষ্টাও করেনি। তারপর লাবণ্য একটা লোকের সাথে ধাক্কা লাগায় তার হুঁশ ফিরে এলো। ভাবলো, না অনেক  অশোক কুমার তো হতে পারে সে কেন হবে। মে আই কাম ইন বলতেই অশোক তাকালো লাবণ্য দিকে। আজ ৬ বছর পর লাবণ্য অশোকের মুখোমুখি। অশোক উঠে দাঁড়াল। বললো লাবণ্য তুই এত বছর পর। আমার অফিসে। লাবণ্য চোখ দিয়ে জল পরছে। বলল তুই মুন্নির বাবা। অশোক বলল মুন্নির সাথে তোর কি করে আলাপ, তুই কি করে চিনলি মুন্নিকে। লাবণ্য কে বসতে বলল চেয়ারে। লাবণ্য পুরো ঘটনাটা বলল অশোককে। অশোক ও তার জীবনের সমস্ত কষ্টটা লাবণ্যকে বুঝিয়ে বলল। লাবণ্য চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছে কিছুতেই থামাতে পারছে না নিজেকে। অশোক বলল ছাড় ওসব কথা চল ক্যাফেটেরিয়ায় যাই। লাবণ্য সম্মতি জানালো। ফোন নাম্বারটাও নিয়ে নিল। বলল অশোকের স্ত্রী নীলিমা তাকে ছেড়ে চলে গেছে অন্য একজনের সাথে। তাই মুন্নি মা হারা। তারপর আর কাউকে নিজের জীবনের সাথে জড়ায়নি অশোক।

লাবণ্য বেরিয়ে এলো ক্যাফেটেরিয়া থেকে। বাড়িতে এসো গুম মেরে থাকলো। রাতে খেলো না কিছু। সারারাত ধরে একটাই কথা ভাবছে ও। ভগবান কি তবে এই চায়। ভগবানের কি ছলনা না ? অশোকও ওই দিকে ঘুমোতে পারছে না । বাড়ি এসে মুন্নিকে জিজ্ঞেস করতেই মুন্নি লাবণ্যের ১০০০ টা প্রশংসা নিয়ে ভরিয়ে দিল তার বাবার মনটা কে। অশোক ফোন করল লাবন্যকে। ওরা সারারাত কথা বলল। পরে এক সপ্তাহ দেখাও করেছে রোজ। তারপর ওরা সিদ্ধান্ত নিল অন্তত মুন্নির জন্য ওদের এক হওয়া দরকার। লাবণ্য বাড়িতে জানালো কথাটা। লাবণ্যর মা-বাবা না করেনি। সত্যিই তো একটা মেয়ে হয়ে কি সারা জীবন একা কাটানো যায়। অশোক ও তার বাড়িতে কথাটা বলল। তাদেরও মা বাবার কোনো অসুবিধা ছিল না। বাড়িতে নতুন বৌদি আসবে শুনে তার ভাই বোনেরা খুব খুশি হলো। সব থেকে বেশি খুশি হল মুন্নি। বয়সের থেকে যেন অনেকটা বড় সে। ছোট বয়সেই অনেক কষ্ট পেয়েছে তো। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে শুনছিল মুন্নি। দৌড়ে গেল ঠাকুর ঘরে। হাতজোড় করে ঠাকুর কে বলছিল। থ্যাংক ইউ ঠাকুর অনেক থ্যাঙ্ক ইউ। আমার লাবণ্য মাম...মাম কে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। অনেক অনেক থ্যাংক ইউ। সেদিন বাপ মেয়ে অনেক কেঁদেছিল জড়িয়ে ধরে। কিছুদিনের মধ্যেই অশোকের মা বাবা লাবণ্যের বাড়িতে এসেছিল কথা বলার জন্য। বিয়ের দিনটা ফাইনাল। বাড়ি ফিরে এসে  কিছুক্ষণের জন্য ছাদে একা ছিল অশোক। সত্যিই জীবনটা তাকে সারপ্রাইজ দিল। তার জীবনটা বেঁচে ছিল শুধু মুন্নির জন্য। আজকে থেকে লাবণ্যর জন্য তাকে বাঁচতে হবে ভালোভাবে। সত্যিই জীবন জটিল ময়। সত্যিই এটা ভবিতব্য। মাঝে  সাতটা দিন। অশোকের  নতুন জীবন শুরু। লাবণ্যর মা হওয়া শুরু। তিনজনের ভবিতব্য ভগবানের হাতে এই  ছিল।সত্যিই ভগবান কারো জন্য কাউকে না কাউকে রেখে দিয়েছেন। চোখ থেকে জল পরছে অশোকের ..........আনন্দের জল।

                                                           ........সমাপ্ত

"ভবিতব্য" গল্পটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা কিন্তু আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনি আরো গল্প পড়তে আমাকে অনুসরণ করতে পারেন। গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


মেহেদী হাসান পিয়াস

                                                                             ©

No comments

Powered by Blogger.