বিষাক্ত স্মৃতি

বিষাক্ত স্মৃতি - Green Vivacity
বিষাক্ত স্মৃতি - Green Vivacity



                           কদিন ধরেই পিয়াল এর মন ভালো নেই। পিউ এর সাথে ব্রেকআপ আর ঠেকানো গেলো না। দুই বছরের প্রেম এই ভাবে ভেঙে যাবে পিয়াল ভাবতেও পারেনি। যদিও এই সব কিছুর জন্য দায়ী ও নিজেই। কিন্তু ক্ষমা তো অনেকবার চেয়েছে তবে পিউ ক্ষমা করে নি। হয়ত কিছু কিছু ভুল এর ক্ষমা হয় না। নিজের মনে কথাটা বলে ডুকরে কেদে উঠল পিয়াল। মা বুঝতেই পেরেছিল নিশ্চই কিছু একটা ঘটছে। হ্যারে, বাবাই তুই কি আবার মামনির সাথে ঝামেলা করেছিস ? পিউ এর ডাক নাম মামনি। মন খারাপ বল আমাকে ? মাকে জড়িয়ে বাচ্চা দের মত কাদতে লাগল পিয়াল। মা ও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে আর কোনো দিন ফিরবে না। সেকিরে এমন কি ঘটল যে একে বাড়ে ছেড়ে চলে গেলো ? আমরাই দোষ ছিল মা। আমি ওকে বুঝিনি না বুঝে অনেক দুর্ব্যবহার করেছি ওর সাথে। কত অপমান কত কষ্ট দিয়েছি। সব সহ্য করেছে। তবে এবার আর পারে নি। আর আমাকে ক্ষমা করতে পারি নি।

কি বলত বাবাই আমাদের জীবনে আমরা কোনো মানুষের মূল্য তার চলে যাওয়ার পর বুঝতে পারি। তবে তুই চিন্তা করিস না মামনি খুব ভালো ও তোকে খুব ভালোবাসে। খুব মায়া মেয়ে টার। মা মরা মেয়ে তো একটু ভালোবাসার কাঙাল। দেখিস অভিমান ভাঙলে ফিরে আসবে। তুমি সত্যি বলছ মা ? হ্যারে- চল এবার রাত হল খেতে চল। বাবা মারা যাওয়ার পর পিয়াল আর ওর মায়ের ছোট্ট সংসার। পিউ ওর জীবনে আসার পর ছন্ন ছাড়া জীবনটা একটু পথে এসেছিল। চাকরি রত অবস্থায় পিয়াল এর বাবা মারা যায়। তার চাকরি টা এখন পিয়াল করে। তিন দিন হল অফিসেও যায় নি। মন মরা হয়ে বাড়িতেই। পিউ পিয়াল এর মা এর ফোন টাও ধরেনি।

নাহ্, ছেলে এই ভাবে ঘরে বসে থাকলে মুশকিল। হ্যারে তুই গিয়ে ছোট মাসির বাড়ি থেকে কদিন ঘুরে আয়। শান্তিনিকেতন পিয়াল এর ছোট মাসির বাড়ি। অফিসে ছুটির আর্জি আরো ও দিন সাতেক বাড়িয়ে নিল। অনেক জোড়া জুরুরি পর সে যেতে রাজি হল। না ড্রাইভার যাবে না পিয়াল নিজেই ড্রাইভ করবে। সোমবার সকালে বেরিয়ে পড়ল। চার ঘন্টার রাস্তা, দুপুর নাগাদ পৌছাবে। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে দু-বার চা খাওয়া হয়ে গেছে। একবার পিউ এর সাথে এসেছিল। মনে পড়ে যাচ্ছিল সেই দিন গুলো। বেলা তিনটে নাগাদ সে এসে পৌছাল মাসি বাড়ি। মাসি দোতলার ব্যালকনি তেই দাড়িয়েছিল। বাবাই কে দেখে নেমে এল। হ্যারে এত দেরি কেন ? ওই একটু ঘুরে ফিরে আসছিলাম তো তাই। আচ্ছা সে ভালো করেছিস এখন স্নান টা সেরে নে। আমি খেতে দিচ্ছি।

খাবার টেবিলে মাসি পাঁচ-ছ রকমের আইটেম নিয়ে বসে। মাসি রান্না করতে খুব ভালোবাসে আর যদি এখন বাবাই না খায় তবেই হয়েছে। ছোট মাসির একটি মেয়ে তার বিয়ে হয়েছে কানাডায় সেখানেই থাকে তবে প্রতি বছর সে আসে। মেসো ব্যবসায়ী। মাসি আর মেসোর সংসার। পিয়াল কে মাসি খুব স্নেহ করেন। দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে একটু শুয়ে নিলাম। সারাদিনের ক্লান্তির জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙে সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ। হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে ড্রইং রুমে গেলাম। মাসি মেসো চা আর হাজার তেলে ভাজার সম্ভার নিয়ে ওর জন্য রেডি হয়ে বসে আছে। চা আর দুটো বেগুনি খেয়ে, মাসি কে বলে সে বেরলো। এই এলাকা বাবাই এর চেনা।

অপুদির বিয়ের আগে যখন বাবাই এইখানে আসত দুই ভাই বোন মিলে সারা রাজ্য চষে বেড়াত। মাসি জিজ্ঞেস করল কিরে কখন ফিরবি। যাই একটু ঘুরে আসি। আর রাতে কি খাবি - মটন করি ? মাসি তুমি তো আমার পছন্দ জানোই ! হাটতে হাটতে বাজারের মধ্যে একটা দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে, একটা ধরিয়ে হাটা শুরু করল পিয়াল। ভরা বসন্ত এই সময় চারিদিকে কৃষ্ণচূড়ায় ভরে আছে। লোকজনের ভিড় ও বেশি। শান্তিনিকেতন এমনিতেই পর্যটন এলাকা। আবার কিছুদিন আগে বসন্ত উৎসব গেছে। মানুষের ভিড় এখনও কমে নি। এমনি বাবাই কোলাহল অপছন্দ করে না। তবে এখন তার একটা শান্ত পরিবেশ দরকার। আগে যখন অপুদির সাথে ঘুরতে আসত একটা পুরোনো মন্দির আছে সেখানে যেত। আসলে অপুদি রঙ্গনদার সাথে ঐখানেই দেখা করত।

অপুদির প্রথম প্রেমিক। খুব মিশুখে ছেলে ছিল রঙ্গন দা। দারুন গানের গলা। বিশ্বভারতী তে গান নিয়ে পড়াশুনা করছিল। অপুদিকে খুব ভালোবাসতো। তারপর কেন জানি না ওদের ব্রেকাঅপ হয়ে যায় আর তার ছয় মাসের মধ্যে অপুদির বিয়ে হয়ে গেল। জিজ্ঞেস করেছিলাম তবে অপুদি কিছু বলে নি। শুধু বলেছিল মানুষের মন খুব অদ্ভুত জানিস ভাই। কখন যে কার প্রতি পরে যাবে আর কার দিক থেকে ঘুরে যাবে কেউ জানে না। আজ দিদির কথা গুলো খুব মনে পড়ছে।‌সত্যি তাহলে কী পিউর মন আমার প্রতি সরে গেছে। তাই ত এত বার ক্ষমা চাওয়ার পর ও ক্ষমা করল না। এই সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে বাবাই সেই পুরোন মন্দিরটির কাছে চলে এল। ধংস প্রায় দশা।

চাঁদের আলোতে বেশ মায়াবী লাগছে। পাশেই পুকুর, চাঁদের আলো পুকুরের জলে পড়ে জল গুলো চিকচিক করছে। এই সময় যদি পিউ থাকত আমার সাথে বাবাই ভাবতে লাগল। একবার বলেছিল বাবাই তোমার সাথে আমি চাঁদনী রাতে নদীর পাড়ে যাব। তাহলে ওর হাত ধরে আজ নদীর পাড় থেকেই ঘুরে আসতাম। খুব মনে পড়ছে আজ পিউকে।  ভাবতে ভাবতে পিয়াল এর চোখ ভিজে গেলো। না আজ আর ভালো লাগছে না। বেশ অনেকক্ষন দাড়িয়ে দাড়িয়ে কেটে গেলো। একটু দূরেই একটা মেঠো রাস্তা সেখান থেকে মানুষের যাতায়াত আছে তবে খুব কম। এই জায়গাটা আগাগোড়া নিরিবিলি।

হঠাৎ কে যেন ডেকে উঠল। কে ওইখানে ? মনে হল কোনো সাইকেল আরোহী। পিয়াল হাতের সিগারেট টি ফেলে এগিয়ে এসে বলল আমি। এখানে ঘুরতে এসেছি। বাবাই মনে মনে ভাবছিল কোনো স্থানীয় বাসিন্দা হয়ত এই অন্ধকারে কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করছে। কাছে এগিয়ে আসতে চমকে গেলাম আরে এত চেনা মুখ রঙ্গনদা। সারা মুখে দাঁড়ি গোফ ভর্তি। তবে চিনতে অসুবিধে হয় নি সেই একই রকম আছে। আরে রঙ্গনদা চিনতে পারছ আমাকে ? কে বলত ? আরে আমি পিয়াল অপরাজিতার মাসতুত ভাই। আরে বাবাই যে। মুখের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রঙ্গন ব্যানার্জি।

আরে হ্যাঁ সেই পুরোনো হাসি দিয়ে  বলল মনে পড়েছে। ভুলেই গেছো না ? বাবাই বলল। নারে ভুলি নি। আসলে এত দিন পর হঠাৎ তোকে এইখানে দেখবো তা ভাবিনি। তা তুই এই ভর সন্ধ্যে বেলা এইখানে কি করছিস ? কেন শান্তুনিকেতন এসেছে সবটাই জানাল রঙ্গনদা কে। দুইজনেই এগিয়ে গিয়ে বসল পুকুরের পুরনো বাধানো সিড়িটার উপর। ব্যবহার না হওয়ার দরুন জঙ্গল হয়েছে। তবে বসার জায়গা হয়ে গেলো। পিউকে রঙ্গন দা চেনে। দেখেছে ও, কত কথা জমে ছিল বুকে রঙ্গনদার কাছে বলে একটু হাল্কা হলো বাবাই। রঙ্গনদা বলল জানিস বাবাই আমি এখন ও রোজ এইখানে আসি আমার আর অপুর কত স্মৃতি আছে বলত।

আচ্ছা রঙ্গনদা কি হয়েছিল গো তোমাদের যে এই ভাবে সম্পর্কটা ভেঙে গেলো। কেন অপু তোকে কিছু বলে নি। না গো বললে কি আর তোমাকে জিজ্ঞেস করতাম। আসলে কি বলত বাবাই দোষটা আমারই ছিল। আমি ওকে বুঝে উঠতে পারিনি। আসলে আমাদের সম্পর্ক ভাঙার চার মাস আগে থেকে আমি হঠাৎ করে খুব নেশা গ্রস্থ হয়ে পড়ি। নিজের কেরিয়ার দাঁড়াচ্ছিল না। অপু বলত তুমি ভেঙে পড় না। আমি আছি তোমার সাথে। তুমি ট্রাই কর। তবে কি বলত বাবাই খুব উঁচু স্বপ্ন দেখেছিলাম তো এক লাফে আকাশ ছোবো। হারটা ও নিতে পারিনি ডিপ্রেশনে ড্রাগ নিতে শুরু করি। অপু অনেক বোঝালো ওকে যা না তাই করে অপমান করতাম কত সহ্য করবে বলতো ?

শেষ একদিন নেশাগ্রস্থ অবস্থায়, আমাদের এক কমন বান্ধবির সাথে আপত্তি কর অবস্থায় ধরা পড়লাম অপুর হাতে। আর সহ্য করতে পারল না জানিস সেদিন খুব কেঁদেছিল। আমি ওর দিকে তাকাতে পারিনি আমার জীবনের একটা চরম ভুল আমার ভালোবাসাকে কেড়ে নিল। সেদিন বলতে ও পারিনি অপু যেও না। কারন সেই মুখ আমার ছিল না। নেশা আমার জীবনটা তছনছ করে দিল। ভালো তো আমি অপু কেই বাসতাম। ও চলে যাওয়ার পর ওর মূল্য আমি বুঝতে পারি। নেশা ছেড়ে দিয়েছিলাম তবে। অপুর স্মৃতিরা আমাকে ছেড়ে যায় নি। একদিন রাতে খুব মদ খেলাম তারপর এসে দিলাম এই পুকুরে ঝাঁপ। মানে তুমি সুইসাইড করতে গিয়েছিলে।

রঙ্গনদা হেসে বলল আরে করতে গিয়েছিলাম কিরে করে, করে ফেললাম। রঙ্গন দা প্লিজ ইয়ার্কি করো না। আর সত্যি বলছি। এখানে অসামাজিক লোক জন ডেরা পাততো। তবে আমার মৃত্যুর পর তা ও বন্ধ। মানে তুমি বলতে চাইছ তুমি ভুত। হুম বলতে পারিস। সত্যি সেই ইয়ার্কি করার স্বভাবটা গেলো না তোমার। জানিস বাবাই আমি যে আর নেই তা অপু জানে না। জানলে খুব কষ্ট পাবে। পরদিন সকালে যখন বডিটা তোলা হয়। আমার মা খুব কেঁদেছিল। মনে হল মায়ের সাথে আমি খুব অন্যায় করলাম। তবে কি আর করা যায় বল।  রঙ্গনদা চলো অনেক রাত হয়েছে। তুমি মনে হয় আবার মদ খেয়েই এসেছ। বিশ্বাস করছিস না। আমাকে ছুয়ে দেখতো ছুতে পারিস কিনা ?

মনে মনে ভয় করছে বাবাই এর। তবুও হাঁত বাড়িয়ে ছুয়ে দেখল। না সে ছুতে পাড়ছে না। তার রক্ত চাপ বেড়ে গেছে সে দরদর করে ঘামছে। তার সামনে সে আর রঙ্গন ব্যানার্জি কে দেখতে পাচ্ছে না। ধীরে ধীরে ওই রোগা ছিপছিপে মানুষটি একটা বিরাট আকার ধারণ করেছে। মুখের আদল বদলে যাচ্ছে। বাবাই ভাবতে পারছে না। কি হচ্ছে, তার মাথা ঘুরছে। আর সেই বিকট মূর্তি চিৎকার করে বলে চলেছে বাবাই তুই চলে যাওয়ার পর তোর মূল্য সবাই বুঝতে পারবে তুই চল আমার সাথে। সবাই কে নিজের মূল্য বুঝিয়ে দে। একটা ধাক্কা। বাবাই পুকুরের জলে পড়ে গেছে। ওর মাথাটা কেউ ঠেসে ধরেছে কাদার মাঝে। খুব কষ্ট হচ্ছে সে চেষ্টা করেও নিজেকে ওই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পারছে না।

সে বেশ বুঝতে পারছে সে আর বাঁচবে না। আমার মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। পিউ কেও। মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমনো। মায়ের বকা। বাবা যখন প্রথম সাইকেলটা কিনে দিল। বাবা যখন মারা গেলো মা খুব কাদছিল। পিউ বাস স্যান্ড এ দাড়িয়ে, প্রথম ওকে দেখেছিলাম। সেই মুষল ধারায় বৃষ্টিতে বন্ধ চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে প্রথম ওর ঠোটে ঠোট রেখেছিলাম। পিউ আর থাকবে না। ও বলে দিয়েছে। মৃত্যুর সময় নাকি মানুষের তার জীবনের চরম মুহূর্ত গুলোর কথা মনে পড়ে। হয়ত বাবাই এরও তাই পড়ছিল। যখন বাবাই এর  জ্ঞান আসে সে তখন হাসপাতালের বেডে।

সামনে বসে আছে মা। ছেলের জ্ঞান এসেছে দেখে মা ডাক্তার কে ডাকে। পিয়াল নাড়াচাড়া করতে পারছে না। শুধু কথা বলতে পারছে। আজ প্রায় সাত মাসের মাথায় তার জ্ঞান আসে। এত দিন সে কোমায় ছিল। বাবাই বাড়ি ফিরছে না দেখে মাসি মেসো তাকে ফোন করে ফোন বন্ধ দেখে তারা আশেপাশে খোজ করে, তাতেও না পেয়ে পুলিসে  ডাইরি করে। মেসো এলাকার গণ্যমান্য মানুষ তাই পুলিশ সাথে সাথে একশন নেয়। রাত তখন দুইটা তাও তার খোঁজ না পেয়ে মাসি অপুদিকে কান্না কাটি করে সব বলে। অপুদি মেসোকে বলে পুলিশদের ওই পুরোনো মন্দির এ গিয়ে বাবাই কে খুঁজতে বলো। সেই রাতে ওইখান থেকে তার আধ মরা শরীরটা উদ্ধার করে পুলিশ।

বাবাই মন খারাপের কথা শুনে অপুদি আন্দাজ করেছিল সে  যেতে পারে ওই খানে। যখন বাবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন তার শরীরে শুধু প্রাণ টাই ছিল। বাবাইয়ের দুটো পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে পুরো নষ্ট হয়ে গেছে, ডান পা টা বাদ পড়েছে, বা-হাতের তিনটে আঙুল কাটা পড়েছে। মাথায় তিনটে ভাইটাল চোট। সকলের আন্দাজ ছিল ছিনতাই বাজদের কান্ড। বাবাই এর মা ভেবেছিল সুইসাউড। কিন্তু ডাক্তার বলেছিল সুইসাইড না কেউ নৃশংস ভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল। তবে পিয়াল এর জ্ঞান না ফেরা অবধি সেটা সাসপেন্স। সবাই কে দেখল শুধু পিউ নেই ও কি খবর পায় নি ? না কি এই পঙ্গু মানুষটি দেখতে আসর ও ইচ্ছে ওর নেই। না ভালোই হয়েছে সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে হঠাৎ রুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকল বাবাই এর সেই স্বপ্নের রাজকন্যা।

পরনে একটা লাল শাড়ি, সাক্ষাৎ পরির মত লাগছে। এক গাল হেসে সামনে দাড়াল। অপুদি ও এসেছিল তিন মাস ছিল তার পর ওর বর এর কাজের অসুবিধার জন্য ফিরে গেছে। তবে রোজ ফোন করে। তবে বিগত ছয় মাস মামনি এই শান্তিনিকেতনে আছে। মা মাঝে একবার বাড়ি ফিরে ছিল তবে ও যায় নি। পিয়াল এর অবস্থা এত টাই খারাপ ছিল তাকে কোলকাতাতে ও নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এখন বাবাই হাঁটতে পারে। এখন হাতে সম্বল নিয়ে হাঁটতে পারে তবে, মামনি এখন তার বড় সম্বল। সত্যি বলতে কাউকে মূল্য বোঝাতে গেলে হারিয়ে যেতে হয় না। আজ নিজের জীবন দিয়েই বুঝছে বাবাই। সে তার পিউর কাছে কতটা মূল্য রাখে তা হয়ত আজ তাদের সন্তান আয়ুস তার বড় প্রমান। রঙ্গনদা আজ ও হয়ত ওইখানেই নিজের মূল্য খোঁজার চেষ্টায় আছে। আজও সেই রাত পিয়াল এর কাছে বিষাক্ত স্মৃৃৃতির মত।

                                                           ........সমাপ্ত

"বিষাক্ত স্মৃতি" গল্পটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা কিন্তু আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনি আরো গল্প পড়তে আমাকে অনুসরণ করতে পারেন। গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


মেহেদী হাসান পিয়াস

                                                                             ©

9 comments:

  1. Nice story Piash da continue .....

    ReplyDelete
  2. ♥️♥️♥️♥️♥️♥️nice

    ReplyDelete
  3. Good Story

    ReplyDelete
  4. Nice Story

    ReplyDelete
  5. Nice♥️♥️♥️

    ReplyDelete
  6. dhur chudna a kon dhoroner golpo

    ReplyDelete
  7. Good Story brother.

    ReplyDelete
  8. Question : কবে আপনি আপনার blog start করছেন। please tell me. Brother.

    ReplyDelete
  9. Question : কবে আপনি আপনার blog start করছেন। please tell me. Brother.

    ReplyDelete

Powered by Blogger.