পরিণতি
![]() |
পরিণতি - Green Vivacity |
মলি ছোট্ট থেকেই খুব জেদী। যা তার পছন্দ তা ও পেয়েই ছাড়বে। একবার ওর মাসির মেয়ে বাড়িতে আসতে কেঁদে কেটে তার শখের পুতুলটাও বাজেয়াপ্ত করেছিল সে। তখন মলি প্রায় ৩ বছরের। আর মাসির মেয়েটিও খুব বড় না, মোটে ৫ বছরের। কিন্তু মলির ওই অস্ত্র ছিল তার তীক্ষ্ণ কান্না। আর তাতেই পুতুলের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল ও। বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য হওয়ায় খুব বেশি আদরের ছিল সে। মোটামুটি সব চাহিদাই মিটতো তার। সমস্যার বীজ বুনে গেছিল তখনই। তখন কি আর কেউ জানত এর পরিণতি হয়ে দাঁড়াবে এমন ভয়ানক ! যদিও তার বাবা ছিলেন এই জেদ প্রশ্রয় দেওয়ার সম্পূর্ণ বিরোধী, কিন্তু তিনি তার শাসন বেশি দিন ধরে রাখতে পারলেন কই। অফিসের কাজে বদলি হয়ে গেলেন দিল্লীতে, তখন মেয়ের বয়স ৬-৭ হবে। তিনি যত দিন ছিলেন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল, কিন্তু তারপর যা হল তার ফল ভোগ করছে এখন সবাই। দিল্লী থেকে ছুটি নিয়ে যখন আসতেন তিনি, তখনও শাসন করতে পারতেন না কারণ ওই কয়দিনের ছুটিতে এসে নিজের প্রাণাধিক প্রিয় মেয়েকে প্রাণ ভরে আদর করতেই মন চাইত, বকতে না। আর এরপর ওনার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে শুরু হল মলির একের পর এক বায়না, আজ ওই মাংসের পদ খাব তো কাল এই দোকানের ওই রং এর জামা কিনব। তার মা খুব একটা সুস্থ নন, হার্টের সমস্যার কারণে মেয়ের পিছনে ছোটা সম্ভব নয় তার। আবদার মেটাত তাই মলির ঠাকুমাই। দিন কাটছে এমন করে। মেয়ে কিন্তু বাইরের সবার খুব প্রিয়, সবাইকে খুশিতে মাতিয়ে রাখতে জানে। কারণ তার এই জেদ শুধু তার কাছের লোকের সাথেই বেশি করে সে। এভাবেই কেটেছে দিন, কেটেছে মাস, কেটেছে ১২ বছর।
তখন তার এই রাগ আর জেদ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বয়স তখন তার ১৮ বছর। কেমিস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছে সে সেন্ট জোসেফ কলেজে। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী সে। সুমন তখন ছিল মূলত মলির সিনিয়র, ওই কলেজেই সে সেকেন্ড ইয়ারের কেমিস্ট্রির ছাত্র। ফ্রেসারস ওয়েলকামে ইন্টারোগেশনের সময়ে সুমনের নজরে পড়েছিল মলিকে। তার উত্তর গুলো ছিল বেশ বুদ্ধিদীপ্ত। সিনিয়রদের কোনোভাবেই হ্যারাশ করার সুযোগ দিচ্ছিল না সে। তারপর ষোলো কলা পূর্ণ হল সেদিনই যখন মলি সিনিয়র অ্যাডভাইস নেওয়ার জন্য এল সুমনের কাছে। মলি অবশ্য সুমনের ভালো লাগা সম্পর্কে কিছু জানতো না, কেবল পড়াশোনায় ভালো ছাত্র বলেই এসেছিল তার থেকে জানতে কেমন করে কি পড়বে। তারপর থেকেই একটু একটু করে দেখা, প্রথম প্রথম পড়াশোনার অজুহাতেই বটে। পরে ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হয়। আর এবার কাছের মানুষ মানেই শুরু মলির জেদ আর বায়নার পাগলামি। মূলত এক রকমের অবসেশন যাকে বলে। প্রথম প্রথম শুরু হল কিছু ছোটো খাটো ব্যাপার নিয়ে। এই যেমন ওই জায়গায় যেতে বারণ করা বা অমুক ভালো খাবার না খেতে বলা। সুমন একেবারেই গুরুত্ব দেয়নি এ বিষয়ে, অসামান্য ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে মেটাতে থাকে তার আবদার। আপাত দৃষ্টিতে কিছু বোঝা যায়নি। কিন্তু পরিবর্তনটা আসতে থাকে ভিতরে ভিতরে। ধীরে ধীরে বেড়ে যায় চাহিদা। না ! টাকা পয়সা বা শারীরিক চাহিদা না ! কিন্তু অন্য রকম এক ভয়ানক পরিস্থিতির সামনে আসে সুমন। এই জামা পরা যাবে না, ওই টিউশনে যাওয়া যাবে না, এই ভাবে চুল কাটতে হবে। হাল ছাড়েনি সুমন, নিজে গুমরে গুমরে কষ্ট পেয়েও মেনেছে মুখ বুজে, কিন্তু এতে মূলত সে স্বভাবটাকে প্রশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু কি করবে সে ? মলির কান্না যে সহ্য হয় না ওর। এদিকে তাদের ভালবাসাও ছিল অগাধ। তাদের দুজনের দুজনকে ছাড়া একদম চলবে না। আর মলি তো একটু বেশি সময় যোগাযোগ না করলেই শুরু করবে ফোন করে হাঙ্গামা। খুব মিষ্টি সম্পর্ক তাদের, কেবল মাঝে এই উৎপাত মলির জেদ ! কলেজ শেষ হতে চলেছে এবার। শুরু হয়েছে মেয়ের নতুন বায়না, একটা গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার ছাড়তে হবে সুমনকে পরীক্ষার জন্য। এবার একটু একটু করে বিরক্তি জমে যাচ্ছে সুমনের মনে। "এই মেয়ের চাহিদা তো মিটিয়ে শেষ করা যাচ্ছে না, ক্ষতি চায় নাকি আমার ? না একটা বার কথা না মেনে দেখি তো কি হয় ?" জানিয়ে দিল সে স্পষ্ট রাখবে না এরকম অদ্ভুত বায়না। কিন্তু মলি শুরু করল অন্য চাল। ছেড়ে চলে যাবে তাহলে সুমনকে ! ভালোবাসা তার অন্য জায়গায় আর জেদ অন্য জায়গায়। হয়ে গেল ব্রেক আপ।
কিন্তু সুমন পারছে না ওকে ছেড়ে থাকতে, জীবন কেমন ফ্যাকাসে হয়ে উঠেছে। ওদিকে মলিও মরে যাচ্ছে বিরহে, কিন্তু না মানবে না সে হার কিছুতেই। আর তার দৃঢ় বিশ্বাস সুমন ফিরে আসবেই। হ্যাঁ তাই হল। মলির চিন্তায় জ্বর এসে গেছে সুমনের। আর পারল না থাকতে। ৩ দিন আলাদা থাকার পর রাজী হয় গেল তার শর্তে। ফোন করে দেখা করতে বলল মলিকে। মলি তো খুশিতে পাগল হয়ে উঠলো। দেখা করে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরল সুমনকে। সেদিন বুঝে গেছিল সুমন মলিকে ছেড়ে থাকা তার কাছে সম্ভব না আর সাথে এও বুঝেছিল মলি একেবারে স্বাভাবিক আর অন্য মেয়েদের মত না, তবু ও ভালবাসে তাকে, খুব ভালবাসে। তাই এভাবেই সে মানিয়ে নিতে চায়, চাহিদা সামলে ভালোবাসতে চায় তাকে। তার আশা ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। কলেজ শেষে দুজন বেশ প্রতিষ্ঠিত হল ২ বছরের মধ্যে। সুমন বিখ্যাত কিং ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ ভালো পদে নিযুক্ত হল, তার ছোট্ট থেকে স্বপ্ন ছিল ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির সাথে কাজ করার। সেই আশায় পূর্ণ উদ্যোগে শুরু করলো কাজ। আর মলি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নিল ফিউচার ব্যাংকে। তার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল ওরা। খুশি খুশি কাটল কয়দিন, তাদের পাশাপাশি দেখতে লাগত হর পার্বতীর মত। দিন কাটছিল ভালো, কিন্তু এরপর আবার ফিরে এল মেয়ের সেই পুরোনো অভ্যাস, সেই জেদ। এখন শপিং মলে যেতে চাইলে তখনই তাকে নিয়ে যেতে হবে, রেস্টুরেন্টে খেতে ইচ্ছা করলে তখনই কিনে দিতে হবে এরকম জেদ শুরু হল। করতেই হবে সে যতোই কাজ থাকুক সুমনের, নাহলে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেবে সে। এবার সুমন একটু একটু করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে একবার মলিকে নিয়ে যাবে কোনো সাইকিয়্যাট্রিস্টের কাছে। যদিও জানায়নি কিছুই মলিকে। কারণ পরের দিন তার স্বপ্নের বিদেশী কোম্পানী দ্যা উইলিয়ামস আসছে ডিল সাইন করতে আর প্রেজেন্টেশনটা নিখুঁত ভাবে করতে পারলে কাজের দায়িত্বটা পাবে সে নিজেই। প্রেজেন্টেশন পারফেক্ট ভাবে করার জন্য সারাদিন ধরে চলতে থাকল সুমনের প্র্যাক্টিস। কিন্তু সাফল্য তার ভাগ্যে নেই, শুরু হল বউ এর জেদ। ছাড়তে হবে এই কাজটা, এত ডেডিকেশন কিসের ? সে দেখতে চায় কে আগে ? মলি নাকি এই কাজটা ? আকাশ ভেঙে পড়লো সুমনের মাথায়। এটা নিয়ে মলি জেদ করবে ভাবেনি সে, মলি তো নিজেই একদিন চেয়েছিল সুমনের এই স্বপ্নের সাফল্য, তবে আজ কি হল। না রাগা রাগী করে ওকে বোঝানো সম্ভব না, তাই ঠান্ডা মাথায় বোঝাতে লাগল সুমন। নানা ভাবে বললো সে, এটা সফল হলে তাদের সংসারে আয় বাড়বে, হয়তো প্রমোশন হবে সুমনের আর তা ছাড়াও তারা তাদের এত দিনের স্বপ্ন ইউরোপে ঘুরতে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত টাকা পেয়ে যাবে।
কিন্তু না ঢুকছে না কিছু তার মাথায়, ওই এক জেদ। না মানলে ডিভোর্স করে চলে যাবে মলি ওকে। সারা রাত বুঝিয়ে লাভ হল না। শেষে রাজি করাতে না পেরে সুইসাইড করবে বলে হাতের শিরা কাটতে উদ্যত হল মলি, নিরুপায় হয়ে তার দাবি মেনে নিল সুমন। বিসর্জন দিয়ে দিল তার এত বছরের স্বপ্ন। একটা ফোনে ভোরবেলা জানিয়ে দিল তার বশকে যে, সে প্রেজেন্টেশনটা করতে পারবে না। মিথ্যে শরীর খারাপের অজুহাত দিলেও বলার অপেক্ষা রাখে না যে এইভাবে অপদস্থ করার জন্য তার চাকরিটা আর রইল না। আর এদিকে মলি ভীষণ ভাবে খুশি এত বড় ভালোবাসার প্রমাণ পেয়ে। চাকরি গেছে যাক, জেদে অন্ধ হয়ে তার মনে হল সে জিতেছে এটাই তার সবচেয়ে বড় পাওয়া। জড়িয়ে ধরে আছে মন প্রাণ দিয়ে সুমনকে। সুমন যদিও ক্লান্ত, নিথর পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে সে। খানিক পরে ঘুমিয়ে পড়লো বিছানায় গিয়ে। ততক্ষণে সকাল হয়ে গেছে। মলির চোখে ঘুম নেই আনন্দে। সে গেল তার প্রাণের মানুষ সুমনের জন্যে তার পছন্দের রান্না করতে। সুমনের ঘুম ভেঙে গেল ১ ঘন্টা পরেই। কান্না পাচ্ছে তার, গলা দিয়ে স্বর বেরোচ্ছে না। তার এত দিনের পরিশ্রম স্বপ্ন সব শেষ ? এ কেমন মেয়েকে ভালবাসলো সে ? এত বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এসে ? কালই তো ভেবেছিল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা, আর কিছু দিন আগে বোঝা উচিত ছিল তার। কিন্তু কি করবে এখন সে ? মলিকে ছেড়ে থাকা তার পক্ষে সম্ভব না। এত নির্ভরতা, এত প্রেম বুকে নিয়ে সে কি করে একা বাঁচবে ? আর এদিকে তার কেরিয়ারটাও একের পর এক শেষ হয়ে যাচ্ছে। এক দিকে ভালোবাসার বোঝা আর অন্য দিকে নষ্ট হওয়া কেরিয়ার। না আর এই স্ট্রেস সামলাতে পারল না সে, অ্যাডজাস্টমেন্টের লিমিট ক্রস করে গেছে সব। এত গুলো বছর ধরে শুধু খাঁটি ভালোবাসা পাওয়ার জন্য স্যাকরিফাইস করতে করতে সে আজ বড়ই ক্লান্ত। হ্যাঁ মলির ভালোবাসায় কোনো খাদ নেই ঠিকই, কিন্তু এই বেড়ে চলা জেদ আর প্রশ্রয় পাওয়া পজেসিভনেস থেকে এবার মুক্তি চায় সে। মলি নিজে তো কোনোদিন কোনো কম্প্রোমাইস করেনি ? সুমন একা আর কত করবে ? মলির থেকে দূরে দূরে শান্তিতে থাকা যেমন সম্ভব না, তেমনই এই ক্লান্ত পরিশ্রান্ত গুমরে ওঠা মন নিয়ে মলির চিকিৎসা করে স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাও সম্ভব না। আদৌ ঠিক হবে কিনা চিকিৎসায় তাও জানা নেই। কাজেই দিশেহারা হয়ে মৃত্যুর পথটাই বেছে নিল সে। চালিয়ে দিল আগের দিনের মলির আত্মহত্যা করতে যাওয়ার সময়ে ব্যবহৃত সেই পড়ে থাকা ছুরি নিজের গলায়। শেষ করে দিল নিজের জীবন, পাড়ি দিল সে চির শান্তির পথে।
খানিক পরে মলি চা নিয়ে সুমনকে ঘুম থেকে তুলতে এসে আঁতকে উঠলো। ভয়ে চিৎকার পাড়ার লোককে খবর দিল, ডেকে পাঠাল মা বাবা কে। পাশের বাড়ির ডাক্তার কাকু এসে বললেন, "হসপিটালে নিয়ে গিয়ে লাভ নেই, হি ইজ অলরেডি ডেড।" সব লোকের ফিসফিসানি চলতে লাগল, "আরে যাই ব্যাপার হোক, নিজেকে শেষ করে দিবি ?" কেউ বলল, "জীবনের সাথে লড়াই না করে এভাবে চলে গেল ? কাপুরুষের মত ?" কিন্তু শুধু সুমনই জানে, সত্যিই কতটা শান্তি পেল সে, সত্যিই আর উপায় ছিল না বলেই তার মত শক্ত মনের ছেলে হয়েও এমন পদক্ষেপ তার। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছিল যে। ওদিকে মলি এখনও নিজের মনে বলেই চলেছে সুমনকে জড়িয়ে, "ভয় দেখাচ্ছ ? তুমি উঠবে না তো ? আমি কিন্তু খাব না। আমি ডিভোর্স দিয়ে দেব। তিন গুনব, তার মধ্যে উঠে বসবে তুমি। খাওনি তো কিছু কালকের পর, চা খাবে এসো। আমি পাকোরা করেছি" ইত্যাদি। সেখানে তখন পৌঁছেছে পুলিশ, বডি চলে গেল পোস্টমর্টেম করতে। মলি তখনও নিজের সাথে নিজে কথা বলে চলেছে, কাঁদছেও না এক ফোটা। সে বুঝতেও পারছে না হয়তো তার জীবনের চেয়েও বেশি দামি জীবনটা বেশ খানিকক্ষণ আগে শেষ হয়ে গেছে। মলির জেদের স্বভাব তো জানতেন তার মা বাবা। এও জানতেন তাদের মধ্যে প্রেম প্রচুর। তো হঠাৎ এমন অঘটন, বেশ আঁচ করতে পারছেন তারা মলির ওই আকাশ ছোঁয়া চাহিদাই হয়তো শেষ করে দিল সব। মেয়ের মুছে যাওয়া সিঁদুরের দিকে তাকিয়ে তারা বুঝলেন, ছোটবেলার দিন গুলো থেকে জেদকে প্রশ্রয় না দিলে আজ এমন দিন দেখতে হত না কাউকে। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে বুঝতে। ধীরে ধীরে প্রতিবেশী আত্মীয়রা যে যার কাজে চলে গেলেন। ডাক্তার আনা হল মলির জন্য, ডাক্তার সবটা শুনে বললেন মানসিক সমস্যা আগেও ছিল তার, আর এই মৃত্যুটা অনেক বেশি আঘাত দিয়েছে তাকে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে বেশ ভালো মতোই পাগল হয়েছে মেয়েটা। আর ডাক্তার জানালেন দীর্ঘ দিনের চেপে থাকা রোগ, সারতে অনেক সময় লাগবে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসে, তাতে প্রমাণ হয় মৃত্যুটা খুন না, সত্যিই আত্মহত্যা। আবার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি আত্মহত্যার পিছনে, তাই কোনো আইনি ঝামেলায় পড়তে হয়নি মলিকে। কিন্তু তারপর কেটে গেছে প্রায় ৫-৬ বছর। মলি আজও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। আজও সে সুমনের উপর রাগ করে এক রাশ অপেক্ষা নিয়ে বসে আছে তার ফিরে আসার !
........সমাপ্ত
"পরিণতি" গল্পটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা কিন্তু আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনি আরো গল্প পড়তে আমাকে অনুসরণ করতে পারেন। গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মেহেদী হাসান পিয়াস
©
No comments